ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় একটি ক্যানেল সংস্কারের অভাবে ৪শ’ একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত

চকরিয়া অফিস :
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় মাত্র ২লাখ ব্যয়ে দুই খালের একটি সংযোগ ক্যানেল (নালা) সংস্কারের অভাবে প্রায় ৪শত একর বোরো’র আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি থেকে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় সহ¯্রাধিক কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়; পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে নুরুদ্দিন বাপের পাড়ার পেকুয়া ফাঁড়িখাল থেকে মোরার পাড়া মইগ্যা খাল পর্যন্ত এলাকায় প্রায় ৩৭ চেইনের একটি সংযোগ ক্যানেল (নালা) রয়েছে। ওই ক্যানেল দিয়ে পেকুয়া ফাঁড়িখাল থেকে মইগ্যাখালে মিঠা পানি চলাচল করে। ওই পানি দিয়েই মইগ্যা ঘোনা, মেলা ঘোনা, চঁইজ্যারঘোনা, আলী হোছনের টেইলা ও খাসের ঘোনা এলাকার প্রায় ৪শত একর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। প্রায় ১ হাজার কৃষক ওই পরিমান জমিতে পানি সেচের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে বোরোর চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বেশ কয়েক বছর ধরে পানি চলাচলের এই ক্যানেলটি সংস্কার করা যায়নি।  গত বর্ষা মৌসুমে মাতামুুহুরী নদীর পলি মাটি পড়ে ক্যানেলটি একেবারে ভরাট হয়ে গেছে। ভরাট ক্যানেলটি ঝোপজঙ্গলে একেবারে ঠাসা। এ কারণে এবারের বোরো মৌসুমে ওই ক্যানেল দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকরা তাদের জমি চাষাবাদের জন্য সেচ দিতে পারছে না। এতে ওই এলাকার প্রায় ৪শত একর জমিতে বোরো’র চাষবাদ বন্ধ রয়েছে। এলাকার কৃষক হুমাইয়ুন কবির জানান; ক্যানেলটি সংস্কার করতে প্রায় ২লাখ টাকা খরচ হতে পারে। সংস্কার কাজ শেষ করতে ২/৩ দিনের বেশী সময় লাগবে না। এই ২লাখ টাকার খরচের অভাবে ওই এলাকার সহ¯্রাধিক কৃষক অনিশ্চিয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। জমিতে বোরোর চাষ করতে না পারলে সহ¯্রাধিক কৃষক পরিবারে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে। কৃষকরা জানান; মাঘ মাসের ভেতরে বোরো’র রোয়া দেয়ার কাজ শেষ করতে হয়। এই সংযোগ ক্যানেল(নালা)টি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য কৃষকরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: